প্রকাশিত: ১২/১২/২০১৬ ৭:৩২ এএম

নাইপেদো: মায়ানমারের পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য রাখাইন রাজ্যের চলমান কারফিউ আরো দুই মাসের জন্য বৃদ্ধি করা হয়েছে।

গত ৯ অক্টোবর রাখাইন রাজ্যের মংডু জেলায় একটি পুলিশ স্টেশনে হামলার ঘটনায় এ কারফিউ জারি করা হয়েছিল। যদিও ২০১২ সালের সাম্প্রদায়িক সহিংসতার পর থেকে সেখানে আংশিক কারফিউ ( রাত ১১টা থেকে সকাল পর্যন্ত) অব্যাহত আছে।

শনিবার রাজ্য কাউন্সেলের কার্যালয়ের তথ্য কমিটি এ কারফিউ (সন্ধ্যা ৭টা থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত) সম্প্রসারণের ঘোষণা দেন।

আঞ্চলিক সরকারের প্রতিনিধি ‘মিন অং’ দাবি করেন, কারফিউ সত্ত্বেও মানুষ এখনো শহরে প্রায় অবাধে যাতায়াত করতে পারছে। কোনো ধরনের বাধা ছাড়াই মানুষ মসজিদেও যেতে পারছে।

এদিকে, রাজ্য কাউন্সেলরের কার্যালয় থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়, ৯ অক্টোবরের ওই হামলায় জড়িত সন্দেহে এ পর্যন্ত অন্তত ৫৭৫ জনকে আটক করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ৮৮ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে, ছয়জন জিজ্ঞাসাবাদের সময় মারা যায়, একজনকে জামিনে মুক্তি দেয়া হয়েছে এবং প্রায় ৪৮০ জনকে এখনো জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

তবে, বিবৃতি বিস্তারিত কোনো বিবরণ প্রদান করা হয়নি।

গত ৯ অক্টোবর রাখাইন রাজ্যে মংডু জেলায় একটি পুলিশ স্টেশনে হামলার ঘটনায়  সংখ্যালঘু হাজার হাজার রোহিঙ্গা মুসলমানদের ওপর রক্তাক্ত নির্যাতনের অভিযোগ উঠে দেশটির সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে। তাদের অমানবিক নির্যাতনে বাধ্য হয়ে এসব অসহায় রোহিঙ্গারা সীমান্ত অতিক্রম করে পার্শবর্তী বাংলাদেশে প্রবেশের চেষ্টা করছে।

নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে শত শত রোহিঙ্গা গণধর্ষণ, ভয়ংকর নির্যাতন ও হত্যার শিকার হয়েছেন বলে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের খবরে ওঠে আসছে।

সাম্প্রতিক নির্যাতনে প্রায় ৩০,০০০ রোহিঙ্গা তাদের ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়ে গেছে এবং উপগ্রহ চিত্র বিশ্লেষণ হিউম্যান রাইটস ওয়াচ জানিয়েছে, রোহিঙ্গা গ্রামগুলোতে কয়েক হাজার ঘর-বাড়ি জ্বালিয়ে দেয়া হয়েছে।

কয়েক প্রজন্ম ধরে এসব রোহিঙ্গারা বার্মায় বসবাস করে আসছে। তারপরেও তাদের নাগরিকত্বকে স্বীকার করা হয়নি। তারা বিবাহ, ধর্মপালন, সন্তান জন্মদানসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে হয়রানির শিকার হচ্ছেন। তারা সেখানে বিশ্বের সবচেয়ে নিপীড়িত জনগণ হিসাবে বসবাস করছে।

২০১২ সালে সাম্প্রদায়িক সহিংসতা ছড়িয়ে পড়লে কয়েক লাখ রোহিঙ্গাকে তাদের ঘর-বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করা হয় এবং এরপর থেকে তারা পুলিশ পাহাড়ায় দারিদ্র্যপীড়িত ক্যাম্পে বসবাস করতে বাধ্য হচ্ছে। সেখানে তারা স্বাস্থ্যসেবা ও শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে এবং তাদের আন্দোলনকে প্রচন্ডভাবে দমিয়ে রাখা হয়েছে।

সূত্র: আনাদলো নিউজ এজেন্সি

পাঠকের মতামত

দুর্ভিক্ষের দ্বারপ্রান্তে রাখাইন, নতুন আশ্রয়প্রার্থীর আশঙ্কায় বাংলাদেশ

নজিরবিহীন সংকটে পড়তে যাচ্ছে প্রতিবেশী মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য। খাদ্য সরবরাহ ব্যবস্থায় উন্নতির সম্ভাবনা না থাকায় ...

আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘বিশাল সুযোগ’ পেতে যাচ্ছেন বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা

মিসরের বিখ্যাত আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য ফুল-ফান্ডেড স্কলারশিপ ঘোষণা করবে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্র্যান্ড ...